মাদারীপুর (মোস্তফাপুর)-শরীয়তপুর-চাঁদপুর সড়কের আড়িয়াল খাঁ নদীর উপর নবনির্মিত আচমত আলী খান ৭ম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতুর দায়িত্ব চীন সরকারের কাছে হন্তান্তর করা হয়।
বুধবার সকালে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে চীনের কাছে এই সেতুর দায়িত্ব হস্তান্তর করা হয়েছে।
চীন সরকারের পক্ষে সে দেশের বাণিজ্যমন্ত্রী এইচই জাও হিউচেং ৭ম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতুর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এখন থেকে সেতুটি চীন সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকবে। ২৯৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ৭০০ মিটার দীর্ঘ এ সেতুটি নির্মাণ করা হয়।
মূল সেতুটির পাশাপাশি টেকেরহাট, টুমচর ও আঙ্গাররিয়ায় আরও তিনটি সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০ আগস্ট ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যেমে সেতুগুলোর উদ্বোধন করেন।
সেতুর দায়িত্ব হস্তান্তরের পর সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, চীন বিশ্ব অর্থনীতির এক গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান উন্নয়ন সহযোগী। দেশের অবকাঠামো উন্নয়নে চীন ব্যাপক অবদান রেখে চলেছে।
তিনি বলেন, এই সেতু নির্মাণে অর্থায়নের জন্য আমি বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে চীনের সরকারের কাছে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। চীনের অর্থায়নে পিরোজপুর কচা নদীর উপর ৮ম বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সেতু নির্মাণের প্রক্রিয়া এগিয়ে নেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
৯ম ও ১০ম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী দুটি সেতু নির্মাণে চীন সম্মতি দিয়েছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের জানান, বরগুনা জেলার আমতলী এবং পটুয়াখালীর গলাচিপায় সেতু দুটি নির্মিত হবে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, সেতু বিভাগের ৩৮ কিলোমিটার ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, যমুনা নদীর তলদেশ দিয়ে আরেকটি টানেল নির্মাণ এবং ঢাকা ইস্ট ওয়েস্ট এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের চীনের কাছে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস