শতাব্দীর সুদীর্ঘ আন্দোলন ও রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের বন্ধুর পথ পরিক্রমায় বহু লালিত স্বপ্নের পল্লবিত-পুষ্পিত রূপায়ন আজকের এই ডিজিটাল বাংলাদেশ। বর্তমান সরকার ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে রূপকল্প-২০২১ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে এদেশকে একটি সুখী ও সমৃদ্ধ দেশে রূপান্তরের জন্য রূপকল্প-২০৪১ প্রণয়ন করেছে। এছাড়াও টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করার জন্যে গৃহীত হয়েছে সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনাসহ বিবিধ পরিকল্পনা। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রতিটি জেলার সঠিক পরিচয় দেশে ও বিদেশে তুলে ধরা সম্ভব হবে।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি বাংলাদেশ। নদীমাতৃক এই দেশের দক্ষিণের দ্বার মাদারীপুর জেলা পদ্মা, আড়িয়ালখাঁ ও কুমার নদী বিধৌত এবং অসংখ্য কবি, সাহিত্যিক, মনীষী ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আবাসভূমি। এ জেলাতে কেটেছে বাঙালির হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ সন্তান স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর কৈশোরের কিছুটা সময়।
দুই বাংলার জনপ্রিয় ঔপন্যাসিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় সহ উপমহাদেশের প্রথম মহিলা ডাক্তার জোহরা কাজীর পৈত্রিক নিবাস এই মাদারীপুর জেলা। এ জেলার বহু শিল্পীর সহজাত বিচরণ রয়েছে সংস্কৃতিক অঙ্গনে। এছাড়া এ জেলায় রয়েছে যাত্রা, জারী-সারীসহ নানা ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির চর্চা। এ-জেলার অত্যন্ত সম্ভাবনাময় পণ্য হলো- খেঁজুরের গুড়। এ জেলার পাট এবং পাটজাত পণ্যের প্রসৃদ্ধি রয়েছে পুরো দেশজুড়ে। এছাড়া বর্তমান সরকারের সর্ববৃহৎ প্রকল্প পদ্মাসেতু নির্মাণের গর্বিত অংশীদার মাদারীপুরবাসী।
জেলা প্রশাসন, মাদারীপুর প্রথম বারের মতো ‘জেলা ব্রান্ডবুক’ শীর্ষক প্রকাশনা বের করেছে। সরকারের ‘জেলা ব্রান্ডিং’ কার্যক্রম বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসন, মাদারীপুর কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপ এবং উদ্যোগ সমূহ সকলের সামনে তুলে ধরার লক্ষ্যে আমাদের এ ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা। এ প্রকাশনা মাদারীপুরকে বিশ্ববাসীর কাছে পরিচিত করে তুলবে বলে আশা করি। এ মহান কর্মযজ্ঞে যারা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে সহযোগিতা ও পরিশ্রম করেছেনে তাদের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। এছাড়াও বিশেষভাবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রোগাম-কে ব্যান্ডবুক তৈরির সদয় দিক নির্দেশনা প্রদানের জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস