কনটেন্টটি শেয়ার করতে ক্লিক করুন
মাদারীপুর শহরের মাঝখানে মডেল স্কুলটির অবস্থান , স্কুলের প্রবেশের প্রধান সড়কটি স্কুল ভবনের পূর্ব পার্শ্বে ১৫ মিটার দূরে পৌরভবন। ৬মিটার দূরে পূর্ব দক্ষিণ কোণে ঈদগাহ ময়দান। দক্ষিণ পাশে আলহাজ্ব আমিন উদ্দিন হাইস্কুল, পশ্চিম পাশে জেলা খাদ্য অফিস, উত্তর পশ্চিম পার্শ্বে পৌর মার্কেট, উত্তর পার্শ্বে উপজেলা রিসোর্স সেন্টার। সর্বোপরি মাদারীপুর নতুন শহরের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে পৌর অফিস সংলগ্ন মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
আজ সগৌরবে মাথা উঁচু করে আছে পৌর অফিস সংলগ্ন মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। এই গৌরব ও মযার্দা একদিনে আসেনি, এমনকি এক যুগেও। কয়েক যুগের পরিশ্রম আমত্মরিকতা ও বিদ্যালয়ের সংশিস্নষ্ট সকলের প্রচেষ্টা গতানুগতিক মলিনতা বিলীন করে দিয়েছে কালের গর্ভে। তাই বিদ্যালয়টি আজ গর্বে মাথা উঁচু করে সুর্যের মত প্রখর আলোর দীপ্তি প্রদান করছে জেলাবাসীকে তথা সারা দেশবাসীকে । এ সুনাম অর্জন ও অÿুন্ন রাখার জন্য যেমন প্রতিনিয়ত করতে হয়েছে কঠোর প্ররিশ্রম তেমনি সভ্যতার উত্তরণের সাথে সাথে বিদ্যালয়ের বর্তমান কাঠামো তৈরী করতে নানা ভাবে করতে হয়েছে কঠোর সংগ্রাম। পেছনে ফিরে দেখলে দেখা যায় বিদ্যালয়টি জন্মলগ্নে বা উষালগ্নে কোথায় কেমন ছিল-
আজকের এই বিদ্যালয়টি জন্ম থেকে এই স্থানে ছিল না। এর জন্ম ও কার্যক্রম শুরম্ন মিউনিসিপ্যালটির অধীনে বৃটিশ শাসনকালে আনুমানিক ১৯৪২-৪৪ সনে, বর্তমানে রাসিত্ম ইউনিয়নের লক্ষ্মীগঞ্জে। কিন্তু প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মে আড়িয়াল খাঁ নদী ভাঙ্গনের ফলে ঐ স্থানে চিরস্থায়ী হতে পারেনি মিউনিসিপ্যালটির বিদ্যালয়টি।
নদী ভাঙ্গন পরবর্তীতে স্কুলটি কিছুকালের জন্য (আনুমানিক পাঁচ বছরের জন্য ) পুরান বাজারে স্থানামত্মরিত হয়। পরবর্তীতে মিউনিসিপ্যালটি কর্তৃপক্ষ ও অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এ স্কুলটিকে বর্তমান পৌরসভা ভবনের উত্তর পার্শ্বে (বর্তমানে ফুলের বাগান যেখানে) টিনের ঘরে স্থানামত্মর করা হয়। সেখানে এ বিদ্যালয়ের কার্যক্রম চলতে থাকার কিছুকাল পরে ১৯৫৮ সনে বিদ্যালয়টি স্থায়ীকরণ করা হয়। মিউনিসিপ্যালটির কমিউনিটি হল নির্মাণের বাসত্মবতায় ১৯৬৫-৬৬ সনে বর্তমান অবস্থায় মিউনিসিপ্যালটি কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে বিদ্যালয়টি টিনের ঘর করা হয় মাটি ভরাটকৃত কাঁচা ভিটির উপর। ১৯৭৪ এ মিউনিসিপ্যালটির পরিবর্তে পৌরসভা নামাধীনে কার্যক্রম চলতে থাকে। ১৯৭২ সালে সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী এবং সর্বশেষ ১৯৭৩ সালে পৌরসভার দশটি স্কুলকে সরকারিকরণ করা হয় এবং উলেস্নখ্য যে সরকারিকরণ করার পূর্ব পর্যমত্ম পৌরসভার অধীন ও অর্থায়নে স্কুলগুলো পরিচালিত হতো।
১৯৭৩ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে বিদ্যালয়টি জাতীয়করণ হয়।
১৯৭৪ সালের আগস্টের ০৬ তারিখে তৎকালীন চেয়ারম্যান ডাঃ সিরাজুল হক তোতা ও ভাইস চেয়ররম্যান চৌধুরী নূরম্নল আলম বাবু চৌধুরী এই স্কুল সহ আরও ৯টি স্কুলে সরকারী নির্দেশে বাংলাদেশ শিক্ষা বিভাগকে বর্তমান জায়গা ও টিনের ঘর স্থায়ীভাবে অর্পন করেন। এইক সঙ্গে বর্তমানে অবস্থিত বিদ্যালয়ের বিল্ডিং সংলগ্ন দক্ষিণ পার্শ্বস্থ রাসত্মা ও আলহাজ্ব আমিনউদ্দীন উচ্চ বিদ্যালয়ের জায়গাও প্রদান করা হয়। পবর্তীতে ১৯৯৫ সালে বাংলাদেশ সরকারের সিদ্ধামত্ম ও ঘোষণা অনুযায়ী সারা বাংলাদেশের প্রতি উপজেলায় ১টি করে মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগে মডেল স্কুল প্রতিষ্ঠার যৌক্তিক শর্তাবলী পূরণে তৎকালীন চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান খানের (বীর মুক্তিযোদ্ধা) তড়িৎ ও তাৎক্ষণিক অঙ্গীকার প্রদানে ঢাকা থেকে আগত প্রতিনিধি দলকে আশ্বসত্ম করেন এবং জরম্নরী ভিত্তিতে মডেল স্কুলের অবকাঠামোগত শর্তাবলী পূরণে কাজ শুরম্ন করেন এবং অচিরেই স্কুলটি মডেল স্কুলে রূপামত্মরিত হয়।
মডেল স্কুল রূপামত্মরের পর থেকে শিক্ষকদের মধ্যে প্রাণের প্রাচুর্য উদ্যমী হয়ে শিক্ষার গুণগত মান বাড়ানোর প্রতিযোগিতা শুরম্ন হয় এবং পরবর্তীতে বর্তমান প্রধান শিক্ষকদিলওয়ারা বেগমের যোগ্য ও যথাযথ উদ্যোমে এবং অন্যান সকল শিক্ষক-শিক্ষিকার আমত্মরিক ও কঠোর পরিশ্রমে পৌর অফিস সংলগ্ন মডেল স্কুলটি ক্রমাগত ও ঈর্ষনীয় সাফল্য মডেল স্কুল নামকরণের যথার্থতা ও যৌক্তিক এবং অনুকরণীয় দৃষ্টামত্ম হয়ে এগিয়ে যাচ্ছে আগামীর পথচলায়।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস